*** উপাসনালয় হোক উৎসবমূখর সার্বজনীন **
এখন বিশ্বজুড়ে ধার্মিকেরাই ধর্মের প্রধান শত্রু। একজন অন্যজনের মত পথ ও তাদের আচার অনুষ্ঠান নিয়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করছেন, আবার অনেকেই আছেন চরম জঘন্য ভাষায় উপহাস করেন। অবার অনেকে দল ভারী করার জন্য মিটিং মিছিল আন্দোলন খুন মার্ডার পর্যন্ত করেন। যা কোন সভ্য সমাজের জন্য কখনোই কাম্য নই। একজন মানুষ যদি স্বেচ্ছায় নরক দোজকে যায় তাতে আপনার সমস্যা কি? আপনি কে? কেন অন্যকে স্বর্গ বেহেশতে নিতে খুন মার্ডার পর্যন্ত করতে হবে আপনাকে ? আপনি যদি বিশ্বাস করেন যে সবগ্র সৃষ্টির স্রষ্টা একজন এবং তিনি সর্ব শক্তিমান। তাহলে আপনাকে অবশ্যই আরো বিশ্বাস করতে হবে যে তিনি চাইলে সৃষ্টির সবাইকে নিশ্চই একই মতে পথে নিয়ে আসতে পারেন। তাহলে জগৎ জুড়ে এতো এতো দলমত যেমন, মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, সুন্নী, অহাবী, আহলে হাদিস, আহলে কোরআন, শিয়া, বাউল, ফকির, সাধু, গুরু, বৈষ্ণব ইত্যাদি কোন কিছুই থাকতো না। সবাই একমতের হয়ে যেতেন। আজকে ৫ তলা একটি মসজিদে নামাজের নামাজের পর ৫ জন মানুষ থাকে না, যা অত্যন্ত দুঃখজনক । শুধু তাই নয়, বেশিরভাগ মসজিদ নামাজের আগে পরে বেশিরভাগ সময় তালাবন্ধ থাকে। এর কারন কি? কারণ একটাই। যে এলাকায় যে দলের প্রভাব ঐ দল ছাড়া মসজিদে অন্য মতের লোকজন যায় না। আর যদিও দুই একজন যায় সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের লোকজন তাদের ভালো চোখে দেখেন না। আর এভাবেই টাইলস মার্বেল ও এসি লাগানো চমৎকার করে সাজানো উপাসনালয় গুলো দিন দিন খালি হয়ে যাচ্ছে। মহান স্রষ্টা যদি দল মত নির্বিশেষে সবাইকে আলো বাতাস ফল মূল সহ সার্বিক চাহিদা পূরণ করে বাঁচিয়ে রাখতে পারেন তাহলে আমরা কেন সহনশীল হতে পারিনা? “মানুষ মানুষের জন্য”, “সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই” আসুন এই মানবতার স্লোগান গুলো অন্তরে ধারন করে আমরা সবাই সহনশীল হই। সমাজ, সংসার ও উপাসনালয় গুলো করে তুলি উৎসবমূখর সার্বজনীন।
মোহাম্মদ মহররম হোসেন মাহ্দী
উডল্যান্ড, সিঙ্গাপুর
০২/০৬/২০২৩ইং
Leave a Reply